বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নে গতকাল শনিবার গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের আয়োজনে মহাত্ম গান্ধীর ১৫২তম জন্ম বার্ষিকী, আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উদযাপন ও নবরুপায়িত গান্ধী মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান্ধী আশ্রম মেমোরিয়াল হাইস্কুল মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সভাপতি বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে আবদুল মোমেন, ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামন নুর, অরোমা দত্ত এমপি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের অন্তবর্তীকালীন প্রতিনিধি তোম পউতি আইনেন, ট্রাস্টি মেজবাহ উদ্দিন সিরাজী প্রমুখ।
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন,মানবজাতিকে রক্ষা করতে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস বাণী গুরুত্বপূর্ণ । গান্ধীজি না এলে নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থামানো সম্ভব ছিল না। তিনি জীবনের মায়া ত্যাগ করে সেদিন নোয়াখালী এসেছিলেন। তিনি আরো বলেন, মহাত্ম গান্ধীর অহিংসা নীতি মেনে চললেই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। মহাত্ম গান্ধী আজীবন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে গেছেন। মহাত্ম গান্ধী ভারত বর্ষের স্বাধীনতার অন্যতম প্রতিকৃত ছিলেন। তার অহিংসা নীতি মেনে নেসলে ম্যান্ডেলা আফ্রিকার মানুষের অধিকার আদায় করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও মহাত্ম গান্ধীর অহিংসা নীতি অনুসরণ করে বাঙ্গালী জাতির অধিকার আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নোয়াখালীবাসীকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। কারণ তারা ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত গান্ধীজির পদাঙ্ক অনুসরণ করে অহিংসনীতি অবলম্বন করে আসছেন। তাই এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অহিংসনীতি অনুসরণ করা হয়নি বলে মায়ানমারে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছে। সারাবিশ্বে গান্ধীজির অহিংসনীতি অনুসরণ করলে যুদ্ধবিগ্রহ এড়ানো যাবে।
সভায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম, সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলুর রহমান, চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএসএম মোসা, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগ আহবায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আলম সেলিম, চাটখিল উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, সোনাইমুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গীর আলম সহ জেলার বিভিন্ন নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।