ট্রেড ইউনিয়নের আদলে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের অধিকার পাচ্ছেন ইপিজেড শ্রমিকরা। কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দর কষাকষিরও অধিকার দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে।
এসব অধিকার দিয়ে প্রণীত ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনের আওতায় ইপিজেড শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা হবে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদিত আইনটির বিধান অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, মৃতদের ক্ষতিপূরণ এবং পুরো বেতন-ভাতায় নারী শ্রমিকদের ৬ মাসের প্রসূতিকালীন ছুটি দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের আদলে ও ২০০৬ সালের শ্রম কল্যাণ আইনের সঙ্গে মিল রেখে শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠনের অধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দর কষাকষিরও অধিকার দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ২ লাখ টাকা ও একেবারে কাজ করতে অক্ষম শ্রমিকদের ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে।
আইনটিতে ১৬টি অধ্যায় ও ২০২টি ধারা রাখা হয়েছে।
এ আইনের ফলে জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়া যাবে কি-না এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিএসপি ফিরে পাওয়া সহজ হবে, বার্গেনিং (দর কষাকষি) ক্যাপাসিটি বাড়বে।