শুধু আশ্বাসের বাণিতেই ঝুলে আছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি।
চার বছরেও কুলকিনারা করতে পারেনি দেশ-বিদেশের গোয়েন্দারা। তদন্ত আর বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ পুরো পরিবার।
সাগর-রুনির একমাত্র ছেলে মেঘের জগত বলতে তার দুই মামা আর নানী। বেড়ে উঠছে তার বাবা-মা’র ছবি দেখে। ছবিগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। বাবা-মার অসীম অসীম ভালোবাসায় বড় হওয়া পাঁচ বছরের মেঘের বয়স এখন পার হয়েছে ৯ বছর। ছোট্ট মেঘের স্মৃতিগুলো ঝাপসা হলেও বাবা মায়ের কথা শুনেই বিষন্ন গলায় বলতে শুরু করলো সেই সমযের নানন কথা। আর হাঁতড়ে বেড়ালো তাদের ফেলে যাওয়া স্মৃতি চিহ্ন।
সাংবাদিক সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যোকাণ্ডের পর থেকেই মেঘ আছে তার নানী ও দুই মামার সাথে পশ্চিম রাজাবাজারের বাড়িতেই। মেঝো মামা নওশের রোমানই দেখাশোনা করে মেঘকে। ক্ষোভের সাথেই জানালেন ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দেয়া মামলার সুরাহা হয়নি ৪৮ মাসেও। একই ক্ষোভ সাংবাদিক সাগও সারওয়ারের মায়ের কণ্ঠে।
একমাত্র ছেলে আর ছেলের বউকে হারিয়ে নিষ্প্রাণ মা এখন আর চান না এই হত্যাকাণ্ডের বিচার। বললেন চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার তদন্তকারি সংস্থা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু হাওয়া পায়নি মামলার গতি।
আর সাংবাদিক মেহরুন রুনির ভাই রোমানের অভিযোগ উল্টো চেষ্টা চলছে তদন্তকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার। তদন্তকারী সংস্থা র্যাব বলেছে এই মামলার তদন্ত নিয়ৈ এই মূহুর্তে কথা বলবে না সংস্থাটি। আর তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্যও দায়সারা।