বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চায় থাইল্যান্ড। আর এজন্য সেদেশের রেনং বন্দরের সাথে চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী দেশটি।
বন্দর দুটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন একটি উপকূলীয় রুট চালু হলে দুদেশই উপকৃত হবে। সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকে এমন আশাবাদ জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দল।
আর স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বলছেন, লাভজনক রুট হতে পারে এটি। থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে বছরে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। আর সিঙাপুর হয়ে দুই দেশের পণ্য আনা নেয়ায় সময় লাগে ১২-১৩ দিন। কিভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণের পাশাপাশি সময় কমিয়ে আনা যায়, বেশকিছুদিন ধরে তার পথ খুঁজছে দুদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় চেষ্টা চলছে থাইল্যান্ডের রেনং বন্দর থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে জাহাজ চলাচলের।
সেজন্য বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে থাই প্রতিনিধি দল। যেখানে উঠে আসে সম্ভাবনার নানাদিক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থাইল্যান্ডের রেনং বন্দরের সাথে চট্টগ্রামের যোগাযোগ স্থাপন হলে পণ্য আনা-নেয়ায় সময় লাগবে মাত্র ৩-৪ দিন। আর বিষয়টি চূড়ান্ত করতে একটি সম্ভাব্যতা যাচাইও হবে।
মূলত উপকূলীয় এলাকাকে কাজে লাগিয়ে রুটটি চালুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আর তা কার্যকর হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলেই আশাবাদী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। খূব শীঘ্রই আরেকটি বৈঠক হবে দুপক্ষের মধ্যে। সেখানেই নির্ধারণ করা হবে প্রয়োজনীয় রূপরেখা।