প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘকে শতবর্ষ ও এর বেশি সময়ে সঠিক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, ইউএনজিএ-৭৫-কে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সুস্পষ্টভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোর রাতে জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে ভার্চুয়াল এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘকে দুর্বল করে এমন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন না দেয়ারও আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘকে দুর্বল করে এমন কোনো ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন দেয়া উচিত নয়। আমরা এটা পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে পেয়েছি। এ জন্য তাদের কাছে আমরা ঋণী এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদেরও জাতিসংঘকে একটি সত্যিকার অর্থে সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক কার্যকরী সংস্থায় পরিণত করতে হবে।’
জাতিসংঘের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শান্তি রক্ষা মিশনে সেনা ও পুলিশ সদস্য মোতায়েনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সংঘাত কবলিত দেশগুলোতে শান্তি সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশের দেড় শতাধিক শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন।
চলমান বৈশ্বিক করোনা মোকাবিলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহামারিসহ বর্তমান সময়ের নানা সংকট ভিশন ২০৩০ অর্জনকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। এছাড়া এই মহামারি আন্তর্জাতিক পরিম-লের সংকট সামনে এনেছে। একই সঙ্গে এই মহামারি দেখিয়েছে যে, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে এই মুহূর্তে জাতিসংঘকে বেশি প্রয়োজন।
প্রমাণ হয়েছে বহুপাক্ষিকতাই সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।’
শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন, ইতিহাসে নানা সময় মানব সভ্যতার পথ পরিবর্তনের মুহূর্ত হিসেবে এসেছে। জাতিসংঘের ৭৫ বছরপূর্তি সেই রকম আরেকটি মূহূর্ত হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে অনেক উপকৃত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছে ঋণী।