বাংলাদেশে সিনোভ্যাক বায়োটেকের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকা পিকোভ্যাকের শেষ ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যবেক্ষণ করবে কোরিয় গবেষণা সংস্থা এলএসকে গ্লোবাল ফার্মা সার্ভিস। ঢাকার সাতটি হাসপাতালে প্রায় ৪ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর টিকাটি প্রয়োগ করা হবে। এ খবর দিয়েছে কোরিয়ান বায়োমেডিক্যাল রিভিউ।
জন হপকিন্স অনুসারে, বর্তমানে এশিয়ায় ভারত ও সৌদি আরবের পর তৃতীয় বৃহত্তম করোনা সংক্রমণ ঘটেছে বাংলাদেশে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ।
এলএসকে জানিয়েছে, করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য যে সাতটি হাসপাতাল নির্বাচিত করা হয়েছে, সেগুলোয় করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সেকেন্ডারি সংক্রমণ কমাতে ও করোনার বিস্তার কার্যকরভাবে থামাতে ওই হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর ট্রায়ালটি পরিচালিত হবে।
এলএসকে আরো জানায়, করোনার বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ থাকায় প্রচলিত স্থান-কেন্দ্রীক পদ্ধতির বদলে দূর থেকে সংস্পর্শহীনভাবে ট্রায়ালটি পরিচালনা করা হবে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, পরীক্ষা পূর্ববর্তী প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারীদের অনুমতি ও টিকাটি প্রয়োগ করার মতো প্রক্রিয়াগুলো সামনাসামনি করা হবে। তবে অতিরিক্ত অনুমোদন ও অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য অবস্থার রিপোর্টের জন্য অনলাইন সরঞ্জাম ও ইপিআরও সমাধান ব্যবহার করা হবে। তাদের ক্লিনিক্যাল উপাত্ত সরাসরি এলএসকে গ্লোবাল পিএস’র তথ্যকেন্দ্রে পাঠানো হবে। এতে করে নীরিক্ষাকারীরা সরাসরি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন না করেও ই-সোর্স উপাত্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সরঞ্জাম ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যেতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সংস্পর্শহীন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সুবিধা হচ্ছে, কম খরচ ও সময়ে রোগী-কেন্দ্রীক উচ্চমানের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করতে পারা। তারা বলেছে, আমরা নিজেদের সংস্পর্শহীন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বহু বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস আমরা এই ট্রায়াল সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত।