Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ ওসি প্রদীপসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে

বন্দুকযুদ্ধে মাহামুদুল হক নিহতের ঘটনাকে’ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড অভিযোগ এনে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আদালত এজাহারটি পর্যালোচনা করে ‘বন্দুকযুদ্ধে মাহামুদুল হক নিহতের ঘটনায় টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

বুধবার বেলা সোয়া ২ টায় জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) মো. হেলাল উদ্দিন এর আদালত এ আদেশ দেন।

টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকার মিয়া হোসেনের পুত্র নুরুল হোছাইন (৪৫) বাদি হয়ে এই এজাহারটি দায়ের করেন।

এতে অভিযুক্তদের মধ্যে ওসি প্রদীপ সহ ১৬ জন পুলিশের সদস্য। অন্যান্যরা চৌকিদার সহ স্থানীয় প্রভাবশালী। অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফ থানার এসআই দিপক বিশ্বাস, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই জামসেদ আহমদ, ওসি তদন্ত এবিএমএস দোহা, এসআই দীপংকর কর্মকার, এএসআই হিল্লোল বড়ুয়া, এএসআই ফরহাদ হোসেন, এএসআই আমির হোসেন, এএসআই সনজিৎ দত্ত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, কনস্টেবল সাগর দেব, ড্রাইভার জহির, কনস্টেবল হৃদয়, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল সৈকত, ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল প্রসেনজিৎ, ব্যাটালিয়ন কনস্টেবল উদয়, হ্নীলা সিকদার পাড়ার মৃত মোস্তফা কামালের পুত্র নুরুল আমিন প্রকাশ নুরুল্লাহ দফাদার, একই এলাকার মৃত আবু শামার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম, নাটমুরা পাড়ার নজির আহমদের পুত্র নুরুল হোছাইন, সিকদার পাড়ার আলোর পুত্র ভূট্টো, মৃত তোফায়েল আহমদের পুত্র আনোয়ারুল ইসলাম ননাইয়া, পূর্ব পানখালীর আবুল হাশেমের পুত্র নুরুল আলম, মৃত নবী হোসেনের পুত্র নুরুল আমিন।

নুরুল হোছাইন বাদি হয়ে দায়ের করা এজাহারে বলা হয়েছে, প্রবাস থেকে ফেরত আসার পর পুলিশ তার ভাইয়ের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ তার ভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুত ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিলেও ৩১ মার্চ তার ভাইকে হত্যা করা হয়।

বাদির পক্ষের আইনজীবী মো. কাসেম আলী জানান, এজাহারটি পর্যালোচনা করে আদালত আগামী ৭ সেপ্টেম্বর বন্দুকযুদ্ধ সংক্রান্ত টেকনাফ থানায় দায়ের করার মামলার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন।

বাদি নুরুল হোছাইন জানান, তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোন সময় কোন মামলা ছিলনা। পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশের পক্ষে ধারাবাহিক হুমকি প্রদান করা হয়। নিরাপত্তার কারণে এতদিন মামলা করার সুযোগ ছিল না। এখন সুযোগ হয়েছে তাই মামলা করেছেন।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top