আফগানিস্তানের উগ্রবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠি তালেবানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তান। দেশটিতে যখন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে শান্তি আলোচনা চলছে তখনই পাকিস্তানের এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘটনা ঘটলো। এরইমধ্যে নিষেধাজ্ঞার বিস্তারিত ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞার প্রথমেই রয়েছে শান্তি আলোচনায় তালেবানের প্রধান মুখপাত্র মোল্লা আব্দুল গণি। এরপরই রয়েছে হাক্কানি পরিবারের একাধিক সদস্য। এরমধ্যে রয়েছে হাক্কানি নেটোয়ার্কের বর্তমান প্রধান সিরাজুদ্দিন। একইসঙ্গে তালেবানের সহকারী প্রধান হিসেবেও সিরাজুদ্দিন দায়িত্বরত রয়েছে। পাকিস্তানের দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তানের আরো বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের নামও। এরফলে পাকিস্তানে থাকা তাদের সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ফাইন্যান্সিয়াল একশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এরইমধ্যে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার পথে রয়েছে। সংস্থাটির তদন্তকারীরা জানিয়েছে, পাকিস্তান সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সাহায্য করছে। তবে এ দাবি অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান। কিন্তু এফএটিএফ জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তান শীঘ্রই সন্ত্রাসবাদে মদদ বন্ধ না করলে দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। মৌলবাদের উত্থানের কারণে পাকিস্তানের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরেই ধুকছে। এরমধ্যে এফএটিএফ-এর কালো তালিকাভুক্তি বিদেশি বিনিয়োগ বন্ধ করে দেবে দেশটিতে। ধারণা করা হচ্ছে, সেই চাপ থেকে বেরুতেই তালেবানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসলামাবাদ। এফএটিএফ-এর কালো তালিকায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া। গত বছর এফএটিএফ পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রাখে এবং সন্ত্রাসবাদে মদদ বন্ধের জন্য সময় বেঁধে দেয়। পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তান ধূসর তালিকা থেকে বের হতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।