পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) এর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৭ জুলাই) দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় পদ্মা ব্যাংক লি. (সাবেক দি ফারমারর্স ব্যাংক লিঃ) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিলকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ), গুলশান কর্পোরেট শাখার ১ কোটি টাকা (যা সুদ-আসলসহ ১৫ জুলাই তারিখের স্থিতি ২ কোটি ৭১ হাজার টাকা) আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এই সময় পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর ১৫ জুলাই ভোরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার দেবহাটার কোমরপুরে অবৈধ পিস্তলসহ সাহেদ র্যাবের হাতে ধরা পড়েন। বর্তমানে তিনি পাঁচ মামলায় মোট ৩৮ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।