রেজাউল করিম : অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে পানি নেমে এসে আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী মানুষ অনেকে আত্নীয় স্বজনের ও প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়ন এখন পানির নিচে। কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও বন্যার্তদের এখনো তেমন সরকারী সহায়তাও মেলেনি। নতুন করে বাড়ি নির্মাণ করা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব বাড়িতে বসবাস করতে পারবে না তারা। অনেকের শয়ন কক্ষে পানি ঢুকে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ঝিকরা ইউনিয়নের নারায়নবাড়ি .রনশিবাড়ী. রায়সেনপাড়া, নামকান,জিয়ান্দপাড়া, মরুগ্রাম, ডাঙ্গাপাড়া, বারুইপাড়া,ঝাড়গ্রাম,খোর্দ্দিনা, খালিশপাড়া, শিবদেবপাড়া ভানসিপাড়া সহ- ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এই অবস্থা দেখা গেছে। সেখানকার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া রনশিবাড়ী গ্রামের এরশাদ আলী জানান, ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে ঘর নষ্ট হয়ে গেছে আসবাবপত্র বের করে রেখেছি অনেক কষ্টে গরু ছাগল উচুঁ স্থানে রেখে আসতে হয়েছে। নারায়নবাড়ি গ্রামের খোদাবক্স প্রামানিক জানান আমার বাড়িতে পানি ঢুকে সব তলিয়ে গেছে থাকার জায়গা নাই। রনশিবাড়ী পাকা রাস্তার মোড় থেকে নারায়নবাড়ি পূর্ব পাড়া পর্যন্ত রাস্তা ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝাড়গ্রাম শহরতলী পাড়ার প্রতিবন্ধী খাজা ময়েন উর্দ্দিন জানান ,আমার ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আমি আমার ভাইয়ের বাড়িতে আছি। ঝাড়গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আঃ সালাম প্রামানিক জানান ,ঝাড়গ্রামের পাতারা পাড়া , ঝাড়গ্রাম মন্ডল পাড়া, ঝাড়গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ হইতে তালতলী রাস্তা ডুবে গেছে। মাঠ থেকে পাতারা পাড়া রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় মোটর সাইকেল ভ্যানগাড়ি চলাচল বন্ধ। জাঙ্গালপাড়া শহরতলী সহ- চার পাঁচটি পাড়ায় পানিতে ডুবে গেছে ঝাড়গ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ পানিতে ডুবে গেছে। অনেকের বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হামিদ ফৌজদার ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাণিক প্রামাণিক ও ঝিকরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি মরুগ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, ঝিকরা ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে গেছে রনশিবাড়ী রাস্তার জিয়ান্দপাড়া নামক স্থানে পানি উঠে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে ফসল ও শত শত পুকুর তলিয়ে মাছ চলে গেছে। এলাকার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ জানান,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে সরকারী ভাবে ইতোমধ্যে সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।
বাগমারায় সব কয়টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী
Share!