করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বঙ্গভবনে বিশিষ্টজনকে দেয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা দিবসের পদক বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে এ সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে বিশ্বব্যাপী কোভিক-১৯ (করোনাভাইরাস)-এর প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাধীনতা দিবসের বড় ধরনের অনুষ্ঠান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং এই মহামারী মোকাবেলায় দেশটির প্রস্তুতি নিয়ে তারা দু’জন প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দু’জনই দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
এ দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতাবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনও স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ ও সমাবেশ স্থগিত করে সরকার। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সংশোধিত জাতীয় কর্মসূচি থেকে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে আহূত জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে সংসদ সদস্যদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশুমেলা ও সাইকেল র্যালির কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
২২ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সংসদ নেতা, স্পিকারসহ সংসদ সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি নেয়া হয়। যা গত শুক্রবার স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে ১৯ মার্চের শিশুমেলাসহ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং ২৪ মার্চের সংসদ সদস্যদের সাইকেল র্যালির কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তবে এই সব কর্মসূচি পরবর্তীকালে সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।