ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কাগজে কলমে স্বাধীন হলেও বাস্তবে স্বাধীনভাবে কাজ করছে না। প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজদের বেলায় দুদক নমনীয়।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন টিআইবির এই নির্বাহী পরিচালক।
টিআইবি বলছে, দুদকবিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি করা এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয় প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দুদকের কার্যক্রমে।
ড. ইফতেখার বলেন, গত তিন বছরে (২০১৬-১৮) নিস্পত্তি হওয়া ৮৫৭টি মামলার মধ্যে মোট ৪৯৫টি মামলায় সাজার রায় হয়েছে। এ ধরনের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে দুদকের নিরপেক্ষতার বিষয়ে মানুষের ধারণা খুব ইতিবাচক নয়। দুদকের কর্মকর্তাদের ওপর আস্থার অভাব রয়েছে। বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের সদস্য ও সাংবাদিকদের মতে, দুদককে দুর্নীতি দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা অর্পণ করা হলেও একই ধরনের দুনীতির মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ নয়।
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের পূর্বে সরকারের অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়টি স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের আইনকে খর্ব করে। এছাড়াও এই আইনটি বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক। এই আইন আদালত কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হবে আশা করেন তিনি।
টিআইবি দুদকের ওপর একটি ফলো-আপ গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেন । গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।