লিবিয়ায় চলমান সংঘর্ষে তুরস্কের অন্তত ১৬ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির বিদ্রোহী নেতা খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী।
রাজধানী ত্রিপোলি দখলের লড়াইয়ের সময় মিসরাতা ও আল-ফালাহ শহরে তুর্কি সেনারা নিহত হয় বলে হাফতারের অনুগত বাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন।
রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান লিবিয়ায় তার দেশের কিছু সেনা নিহত হয়েছে স্বীকার করার পরই হাফতার বাহিনী এই বিবৃতি দিয়েছে বলে পার্সটুডে জানিয়েছে।
এরদোগান বলেছেন, লিবিয়ার জাতীয় সরকারের স্বার্থে আমরা সেখানে সেনা পাঠিয়েছি। আমরা লিবিয়ায় লড়াই অব্যাহত রাখব। এরইমধ্যে সেখানে আমাদের কয়েকজন সেনা শহীদ হয়েছেন। অন্যদিকে আমরা হাফতার অনুগত বহু সেনাকে নিষ্ক্রিয় করতে সমর্থ হয়েছি।
গত ১২ জানুয়ারি তুরস্ক ও রাশিয়ার যৌথ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় লিবিয়ায় যুদ্ধরত আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার ও বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী। পরে রাশিয়ায় উভয়পক্ষ স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসলে কোনো প্রকার চুক্তি স্বাক্ষর ছাড়াই মস্কো ছাড়েন জেনারেল হাফতার।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ও নিহত হওয়ার পর দেশটি দু’পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ দেশটির পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। অন্যদিকে বেনগাজিকে কেন্দ্র করে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থিত বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলের দখল নেয়। ফ্রান্সও তাদের সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ত্রিপোলিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থিত সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তুরস্ক দেশটিতে সেনা পাঠিয়েছে।