মাঘের প্রথম বৃষ্টির পরই বুধবার রাত থেকে তাপমাত্রা কমছিল, শুক্রবার মাঝরাতে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দেশের অধিকাংশ স্থানে এই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চট্টগ্রাম ছাড়া ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও শুক্রবার মাঝরাতে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বাতাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. রাশেদুজ্জামানও বলেছিলেন, বৃষ্টির পর কয়েক দিন জেঁকে বসতে পারে শীত। কোথাও কোথাও তীব্র শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শনিবার সকালে জানায়, রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ জায়গায় শুক্রবার মাঝরাত থেকে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ অবস্থা চলতে পারে আরো দু-একদিন। জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস সম্পর্কে অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এ মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারি (তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।
অধিদপ্তরের শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে; তবে দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যান্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার-বুধবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চট্টগ্রাম ছাড়া সব বিভাগেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চট্টগ্রাম বিভাগের টেকনাফে, ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সীতাকুণ্ড ও রাঙ্গামাটিতে হালকা বৃষ্টিও হয়।