অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টানা ১৪ টেস্ট হেরে বিশ্বে বাজে রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান। সদ্য শেষ হওয়া দুই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ইনিংস ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান।
অস্ট্রেলিয়া সফরে দল হিসেবে পাকিস্তান ব্যর্থ হলেও সফল বাবর আজম। ব্রিসবেনে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া বাবর অ্যাডিলেডে টেস্টেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। কিন্তু মাত্র ৩ রানের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির দেখা পাননি পাকিস্তানের বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।
অস্ট্রেলিয়ার মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২১০ রান করেছেন বাবর আজম। তবে সিরিজে সর্বোচ্চ ৪৮৯ রান করে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
এর আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে হেরে গেলেও দাপুটে ব্যাটিং করে সিরিজ সেরা রান সংগ্রাহক হন বাবর আজম। দুই ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটিতে সর্বোচ্চ ১১৫ রান সংগ্রহ করেন বাবর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন ইফতেখার আহমেদ। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
অস্ট্রেলিয়ার বৈরি কন্ডিশনে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সফল হওয়ার রহস্য নিয়ে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, তিন বছর আগে (২০১৬ সালে) অস্ট্রেলিয়া সফরে আমার খুব বেশি অভিজ্ঞতা হয়নি। তখন আমি যে ভুলগুলো করেছিলাম এবার সেগুলো নিয়ে অনেক কাজ করেছি, তাই সাফল্য পেয়েছি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ডটককে দেয়া সাক্ষাৎকারে, ২৫ বছর বয়সী এ তারকা ব্যাটসম্যান আরও বলেন, আমি এর আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলাম, তাই এখানের বাউন্সি উইকেট স্পর্কে পূর্ব ধারণা ছিল। এই সফরের এক সপ্তাহ আগে আমি বাউন্সি উইকেটে খেলার জন্য নিজেকে যথাযথ প্রস্তুত করেছি। তাছাড়া এবার সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ায় সাফল্য পেতে সহজ হয়েছে।
বাবর আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বোলিং লাইনআপ বিশ্বমানের। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স এবং জস হ্যাজলউডের মতো প্রতিভাবান বোলারদের বিপক্ষে রান করতে হলে অনেক আত্মবিশ্বাস লাগে।