মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় তার দেশের যে ২৮,৫০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে তাদের জন্য সিউলকে অবশ্যই আরো অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। তিনি দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি সম্পদশালী দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে গত শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিয়ং কিয়ং দু’র সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মার্ক এসপার। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে তার প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর ব্যাপারে শক্ত অবস্থান থেকে সরে এসেছে আমেরিকা।
দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা যৌথভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে। এর বিরুদ্ধে সবসময় প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং বলে থাকে, আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে মূলত উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের উসকানি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে পেন্টাগন প্রধান আরো বলেন, ‘আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি যে, নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ব্যয়ভার দক্ষিণ কোরিয়াকে অবশ্যই ভাগাভাগি করতে হবে।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, মার্ক এসপারের সঙ্গে তিনি সামরিক ব্যয় ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে সম্মত হয়েছেন এবং এটি যাতে ন্যায্য হয় সেজন্য আলোচনা করা হবে। তবে ঠিক কত অংশ কে বহন করবে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন সংসদ সদস্য জানিয়েছিলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা বছরে ৫০০ কোটি ডলার দাবি করছেন। তিনি বলেছিলেন, সিউল যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে রাজি মার্কিন কর্মকর্তাদের এই দাবি তার চেয়ে অন্তত পাঁচ গুণ বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে বলে আসছেন- জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ধনী দেশগুলোকে মার্কিন সেনাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিতে হলে অবশ্যই ব্যয়ভার বহন করতে হবে।