চট্টগ্রাম বন্দরে দুই জাহাজের সংঘর্ষে একটি অয়েল ট্যাংকার ফুটো হয়ে কর্ণফুলী নদীতে অন্তত ১০ টন তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কর্ণফুলী নদীর ৩ নম্বর ডলফিন জেটি এলাকায় একটি জাহাজ ও অপর একটি অয়েল ট্যাংকারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
শুক্র ও শনিবার দু’দিনে ৮০ শতাংশ তেল শোষণ করে নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দু’টি জাহাজ আটক করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতর জাহাজ মালিককে চিঠি দিয়েছে। রোববার এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কর্ণফুলী নদীর ৩ নম্বর ডলফিন জেটি এলাকায় ‘সিটি ৩৮’ নামে একটি লাইটার জাহাজের সঙ্গে ‘দেশ-১’ নামে অপর একটি অয়েল ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্যাংকার ফুটো হয়ে যায়। ওই ট্যাংকারে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ব্যবহƒত জ্বালানি তেল ছিল। ফুটো হওয়ার পর অন্তত ১০ টন তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে। ৩ নম্বর বয়ার চারপাশে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় তেলের মিশ্রণে নদীর পানি কালচে আকার ধারণ করে।
এদিকে খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল শুষে নেয়ার কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ বে-ক্লিনার-১ ও বে ক্লিনার-২। বন্দরের জাহাজ কান্ডারি-৮-এর সাহায্যে সংঘর্ষকবলিত জাহাজ দু’টিকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক কর্ণফুলী নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, ‘আমাদের মেরিন ডিপার্টমেন্ট বলেছে, অন্তত ১০ টন তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ তেল নদী থেকে শোষণ করে নেয়া হয়েছে। বাকিগুলোও শোষণ করা হবে। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। পরিবেশ অধিদফতরকেও এ বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক যুগান্তরকে বলেন, ‘আমাদের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা জাহাজ মালিককে চিঠি দিয়েছি। আগামীকাল (রোববার) পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মালিকদ্বয় উপস্থিত থাকবেন। শুনানি শেষে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তারাও জানতে পেরেছেন, ১০ টনের মতো জ্বালানি তেল নদীতে পড়েছে এর মধ্যে ৬ টনের মতো সংগ্রহ করা হয়েছে।