সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিতে দুই ব্যক্তির নাম লেখা রয়েছে। তারা হলো- ছালাতুল ও সোলেমান। এ নিয়ে এলাকায় নতুন করে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তুহিনকে হত্যা করে তার মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। সেই সঙ্গে শিশুটির লিঙ্গ ও কান কেটে দেয়া হয়। নিহত তুহিন ওই গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে।
রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার ভোরে গাছের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় নিহত শিশুর পেটের মধ্যে ঢুকানো ছিল দুটি ছুরি। ডান হাতটি গলার সঙ্গে থাকা রশির ভেতরে ঢুকানো অবস্থায়। বাম হাতটিও ঝুলে ছিল লাশের সঙ্গে। কেটে নেয়া হয়েছে শিশুটির কান ও লিঙ্গ। আর তার পুরো শরীর ভিজে ছিল রক্তে। এমন একটি নৃশংসভাবে তুহিনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার মরদেহ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে যায়। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামের সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ছালাতুল ও সোলেমান সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।
এ ঘটনায় তুহিনের বাবাসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। তারা হলেন- তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুছাব্বির, ইয়াছির উদ্দিন, প্রতিবেশী আজিজুল ইসলাম, চাচি খাইরুল নেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, এই নৃশংস হত্যা সঙ্গে জড়িতদের আটক ও রহস্য উদঘাটনে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।