বেসরকারি স্কুলে ভর্তি ফি ও বেতন নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নীতিমালা স্পষ্ট ও কার্যকর নয়। এ বিষয়ে নিজেদের ইচ্ছামাফিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ। গবেষকরা বলছেন শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণের হাত থেকে বাঁচাতে এখনই দরকার সরকারের দৃঢ় অবস্থান ও শিক্ষা আইন। এদিকে নীতিমালা বাস্তবায়নে স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
বেসরকারি স্কুল ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকার বেশি নয়। আংশিক ও এমপিও বর্হিভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবোর্চ্চ আট ও ইংরেজি ভার্সনে নেয়া যাবে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা।
উন্নয়ন খাতে তিন হাজার টাকা বেশি আদায় করতে পারবে না কেউ। রাজধানীর অনেক স্কুলই মানছে না বেধে দেয়া এই নিয়ম।
শিক্ষক-কর্মচারীদের কথা মাথায় রেখে, ভর্তি বা বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নেয় পরিচালনা পর্ষদ। তবে বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় তবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
এদিকে, শিক্ষা আইনের মাধ্যমে ভর্তি ও বেতন আদায়ের বিষয়টি স্পষ্ট ও কার্যকর হওয়া দরকার বলে মনে করেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি কো-চেয়ারম্যান কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ।
এ বছরও উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের তিন মাধ্যমে বেতন বেড়েছে ৫০ থেকে ৮৫ শতাংশ, উদয়ন স্কুলের ৪০০ টাকার বেতন একলাফে হয়েছে বারশো।
নিজেদের খেয়াল খুশিমতোই ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বাড়িয়েছে মতিঝিল ও ন্যাশনাল আইডিয়াল, ভিকারুন নিসা নুন, বিয়াম ও মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল। তবে সরকারের নির্দেশে দু-একটি স্কুল বাড়তি ফি নেয়া স্থগিত রেখেছে।