রাজধানীতে বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় আবারো তীব্র হয়ে উঠেছে গ্যাস সংকট। গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কোনো এলাকায় দুপুর আবার কোনো এলাকায় রাত পর্যন্ত গড়ায়। বাধ্য হয়ে কেউ ব্যবহার করছেন মাটির চুলা আবার কেউবা সিলিন্ডার গ্যাস।
রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকা। সকাল হতে না হতেই চুলা থেকে গ্যাস নামক মূল্যবান দাহ্য পদার্থটি উধাও। কখন আসবে গ্যাস জানা নেই এই গৃহিণীর। তাই অপেক্ষা না করেই মাটির চুলা নিয়ে রান্না-বান্নার প্রস্তুতি তার।
একই অবস্থা দেখা গেলো এই এলাকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতেও। গ্যাসের চাপ কম থাকার কারণে অনেক সময় স্টেশন বন্ধ রাখতে হয় বলে জানান ফিলিং কর্মকর্তা।
তবে ব্যতিক্রম দয়াগঞ্জের ঢালাই কারখানাগুলো। এখানে সবসময়ই গ্যাসের সরবরাহ পর্যাপ্ত বলে জানান কারখানার কর্মচারীরা।
পূর্ব রামপুরা। এই এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরেই প্রকট গ্যাস সংকট। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেও সমাধান পাননি এলাকার বাসিন্দারা।
এদিকে, একই এলাকার সিএনজি স্টেশনগুলোতে ছিলো পর্যাপ্ত গ্যাসের চাপ। জানা গেলো ভিন্ন তথ্য। আলাদা গ্যাসের সরবরাহ লাইন থাকার কারণে সমস্যা হয় না বলে জানান স্টেশন কর্মকর্তা।
গোটা রাজধানীতে তিতাস গ্যাস কোম্পানি প্রায় ১শ ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে থাকে। শীতকালীন সময়ে এ চাহিদা কিছুটা বেড়ে গেলেও গ্যাসের লাইনে উপজাত জমে থাকার কারণে সংকট প্রকট আকার ধারণ করে।
তবে, চলতি মৌসুমে শীতের প্রভাব কম থাকার ফলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে গ্যাস সংকট। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস কোম্পানির সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কৃত্রিম এ সংকটের কারণ জানা যায়নি।