বাগমারা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাগমারায় বিধবা ভাতার টাকা না দেয়ায় মাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে নেশাখোর বখাটে ছেলে। নিহত ওই বিধবার নাম চাম্পা বেওয়া (৭০) গত রোববার রাতের কোন এক সময়ে উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর ফুলপুর গ্রামে ঘটে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর ফুলপুর গ্রামের সাইবুল্যার মৃত্যুর পর তার বিধবা স্রী চাম্পা বেওয়া অসহায় জীবন যাপন করতে থাকেন । ভোরণ -পোষন না পেয়ে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটতে থাকে ওই বিধবার। এই অবস্থা দেখে ইউপি -চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজহারুল হক মানবিক কারনে সম্প্রতিত তাকে একটি বিধবা ভাতার কার্ড করে দেন। গত রোববার তিনি সংল্লিষ্ট দপ্তরের অধীনে হাটগঙ্গোপাড়া জনতা ব্যাংক শাখা থেকে ওই কার্ডের মাধ্যমে বিধবা ভাতার তিন হাজার টাকা উত্তোলন করেন। টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর থেকেই বিধবার বখাটে ছেলে আবুল কাশেম (৫০) নেশা করার জন্য মায়ের কাছে ওই টাকা দাবি করতে থাকে। কিন্তুু নেশা করার জন্য টাকা দিয়ে রাজি না হওয়ায় রাত ১০ টার দিকে নেশাখোর বখাটে ছেলে আবুল কাশেম তার বিধবা মা চাম্পা বেওয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। গত সোমবার দুপুরের দিকে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ইউপি -চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক বলেন জীবন বাচাঁর জন্য বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়ে ছিলাম অসহায় বিধবা চাম্পা বেওয়াকে। সেই কার্ডের টাকাও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকাই আজ তার মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ালো নেশাখোর বখাটে ছেলের লাঠির আঘাতে। বাগমারা থানার -ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। নিহত বিধবার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মায়ের ঘাতক বখাটে ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চল
নেশার টাকার জন্য ছেলের হাতে মা-খুন
Share!