দেশের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় এডিস মশার বাচ্চা বা লার্ভা ধ্বংস করতে ড্রেনে প্রায় আট হাজার মশাভুক মাছ (মসকুইটো ফিশ) অবমুক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে মঙ্গলবার ওই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।এর পর পুরো ক্যাম্পাসের ড্রেনেই ওই ফিশ অবমুক্ত করা হবে। ওই মাছগুলো ছাড়বেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. লুৎফুল হাসান।এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটুর নেতৃত্বে শহরের ড্রেনে ওই মাছ ছাড়া হবে।মশাভুক মাছ (Mosquito Fish) ছাড়ার মাধ্যমে মশার ডিম নিধন সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাকৃবির একদল গবেষক।গবেষক দলের প্রধান ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ জানান, মসকুইটো ফিশ প্রায় ১০ বছর আগে আমেরিকা থেকে দেশে অ্যাকুরিয়াম ফিশ হিসেবে আসে।পরে এটি দেশের মুক্ত জলাশয় এবং ড্রেনে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক বছর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ড্রেনে মশা দমনে মসকুইটো ফিশ ও গাপ্পি মাছ ছাড়ে। গবেষণার একপর্যায়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ড্রেন ও নর্দমার প্রচণ্ড নোংরা পানিতে আমরা ‘মশাভুক মাছ’-এর সন্ধান পেয়েছি; যারা মশার ডিম প্রচুর পরিমাণে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে।এ মাছ ড্রেন ও নর্দমার প্রচণ্ড নোংরা পানিতে স্বাভাবিকভাবেই বেঁচে থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, মশার লার্ভা ভক্ষণে দেশীয় খলিশা, দারকিনা, জেব্রা ফিশ মসকুইটো ফিশের চেয়ে বেশি উপযোগী হলেও এরা নর্দমার নোংরা পানিতে বেশিদিন বাঁচতে পারে না। তাই নর্দমার পানিতে মশার লার্ভা নিধনে মসকুইটো ফিশ সবচেয়ে বেশি উপযোগী।এ সময় ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ডেঙ্গুর এ মারাত্মক পরিস্থিতিতে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে মশা নিধনের নতুন নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা শিখতে হবে। তেমনি একটি হলো মশা নিধনের বায়োলজিক্যাল পদ্ধতি অর্থাৎ মাছ দিয়ে মশার লার্ভাকে ভক্ষণ করানো।
‘মশাভুক মাছ’মশা খেয়ে ডেঙ্গু কমাবে ৮ হাজার
Share!