Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনে

দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি তৃতীয় দিনের মতো চলছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে।

কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বিকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠক হলেও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি শিক্ষকরা। বৈঠক শেষে শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সংকট সমাধানের পথে এক ধাপ এগিয়েছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত সোমবার সকাল থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। তাদের ৫ দফা দাবি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তৃতীয় দিনের মতো সকাল থেকেই তাদের কর্মবিরতি পালন চলছে। তিনি আশা করেন, সরকার তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হোক শিক্ষক হিসেবে তা তাদের কাম্য নয়।তিনি বলেন, আমরা ক্লাশে ফিরতে চাই। সরকার দাবি মেনে নিলে আজই ক্লাশে ফিরে যাব।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ বলেন, ‘আমাদের সমস্যার কথা মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী আবারো জানতে চেয়েছিলেন। আমরা আগে বারবার বলে আসা সব সমস্যার কথা আবারও বলেছি। তিনি বলেছেন, দেখি কী করা যায়। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অষ্টম পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবনমনের প্রতিকার ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। ক্লাস বন্ধ রয়েছে, সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল বাদে মিডটার্ম পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল শ্রেণি পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

গত ২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের মুজাফফর আহম্মেদ চৌধুরী মিলানায়তন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

এই কর্মরিততিতে যাওয়ার আগে আরো দুই দিন কর্মসূচি পালন করা হয়। ৩ জানুয়ারি একই দাবিতে শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করেন। ৭ জানুয়ারি স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এরপর ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যান শিক্ষকরা।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top