রেজাউল করিম আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ মানতে মানতে হবে, নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা বাসীর দাবি মানতে হবে। ঢাকার ট্রেন থামতে হবে। এমন স্রোগানে স্রোগানে বিক্ষোব মিছিল, মানববন্ধন ও রেললাইন অবরোধ করে ট্রেন দাঁড় করানোর মত বিভিন্ন কর্মসচীতে মুখোর এখন আত্রাইয়ের আহসানগর্নজ রেলওয়ে স্টেশন। গত সাত দিন ধরে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে নওগাঁর আত্রাইয়ের আহসানগর্নজ রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে দ্রতযান এক্সপ্রেস ট্রেন আসা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন ও রেললাইন অবরোধ করে ট্রেন দাঁড় করানোর মত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে উপজেলার সর্ব স্তরের জনগণ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ঢাকাগামী একস্রপ্রেস ট্রেন আসলে আন্দোলনকারীদের অবরোধ মুখে চালক ট্রেন থামিয়ে দেন। প্রায় ১০ মিনিট বিরতি পর আবার ট্রেন ছেড়ে চলে যায়। এদিকে আহসানগর্নজ রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজের দাবি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন কর্মসূচি পালন করার ঘোষনা দেন আন্দোলনকারীরা। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আত্রাই উপজেলা -চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারমান মমতাজ বেগম। জনা যায়, নওগাঁ জেলার বৃহত আত্রাইয়ের আহসানগর্নজ স্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকাগামী ৫ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করলেও মাত্র একটি ছাড়া ঢাকাগামী অন্য কোন ট্রেনের স্টেপজ এখানে নেই। ফলে ঢাকাগামী যাত্রীদের যারপর নেই দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে কেবল মাত্র নীল সাগর এক্সপ্রেসের স্টপেজ ও স্টেশনে রয়েছে তাও আবার আসন সংখ্যা বরাদ্ধ রয়েছে মাত্র ৪৬ টি। অথচ আত্রাই থেকে প্রতিদিন ঢাকা যাতায়াত করেন প্রায় ২ শতাধিক যাত্রী। ফলে সীমিত সংখ্যক আসনের জন্য হিমসিম খেতে হয় স্টেশন কর্তৃপক্ষকে। এদিকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়াও আত্রাইয়ের উপর দিয়ে প্রতিদিন দ্বতযান এক্সপ্রেস রংপুর এক্সপ্রেস লালমনি এক্সপ্রেস এবং একতা এক্সপ্রেস নামে আরো ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। সম্প্রতি যোগ হয়েছে পব্জগড় এক্সপ্রেস আর ও একটি আন্তঃনগর ট্রেন। অথচ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সত্তে যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ কার্যকর ও হওয়ায় একদিকে যাত্রীরা হচ্ছেেন দূর্ভোগের শিকার অন্যদিকে সরকারের মোটা আংকের রাজস্ব আয় থেকে বন্দ্রিত হচ্ছে। একদিকে আত্রাইয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতির দাবিতে গত ২০১৬ সালেও এমণ আন্দোলন করছিলেন এলাকাবাসী। মাসাদিককাল আন্দোলনের পর ও দাবি পূরুন না হওয়ায় দিনে দিনে আন্দোলনের ভাটা পড়ে যায়। একই দাবিতে আবারও সোচ্ছার হয়েছেন এলাকাবাসী। দাবি আদায়ের জন্য পালিত হচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচী। এ ব্যাপারে মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের -সহকারী অধ্যাপক মোল্লা মোঃ মতিউর রহমান বলেন ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবি। আমরা আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি দাবিতে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও এমন আন্দোলন করছিলাম। রাজশাহী রেওয়ের ডিজি ও জি এম বরাবর স্থানীয় এমপি মহোদয়ের ডি ও লেটার, শত শত জনসাধারণের স্বাক্ষরীর দরখাস্ত প্রদান করি এবং তারা আশ্বাস দেয়। কিন্তু আজ ও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলার -চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ এবাদুর রহমান বলেন দ্রত আহসানগর্নজ স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনট্রি যাত্রা বিরতি ঘোষণা না করা হলে আগামীতে আবারো আবরোধ -সহ কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও এই স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি -সহ স্টেশনে যাত্রী সেবার মানবৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকারের সুদুষ্টি কামনা করেছেন তিনি। এব্যাপারে মহিলা ভাইস-চেয়ারমান মমতাজ বেগম বলেন বর্তমানে এ স্টেশনে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় হয়। ঢাকাগামী অন্যান্য ট্রেনের এবং খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেসের স্টপেজ কার্যকর হলে রাজস্ব আয় অনেক গুণে বেড়ে যাবে। সেখানে সরকারে রাজস্ব বাড়বে এবং এলাকাবাসীর উপকার হবে। সেখানে ট্রেন স্টপেজ নিতে আপত্তি কোথায়।
আত্রাইবাসীর প্রাণের দাবি মানতে হবে ঢাকাগামী ট্রেন থামতে হবে
Share!