Review Overview
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার ব্যবস্থা স্বচ্ছ, গতিশীল এবং জনমুখী হয়েছে। সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের ফলে মামলাজট অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিরোধ মীমাংসা এবং থানা, কারাগার ও আদালতের দীর্ঘসূত্রিতা দূর করে বিচারপ্রার্থীদের আইনগত সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীতে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘রেস্টোরেটিভ জাস্টিস (আরজে) অ্যাপ্রোচ ইন মেডিয়েশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে লিগ্যাল এইড কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, সব নাগরিকের ন্যায়বিচারে প্রবেশের সমান অধিকার এবং নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং আইনের শাসনের মূলনীতি।
আনিসুল হক বলেন, বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে সরকার ২০০০ সালে “আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০” প্রণয়ন করেছে এবং জেলা আইনগত সহায়তা প্রদান অফিসের মাধ্যমে দরিদ্র ও অসহায় ব্যাক্তিদের ন্যায় বিচারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক আইনি কাঠামোতে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র অধীনে প্রত্যেক জেলা জজ আদালতে ‘জেলা লিগ্যাল এইড অফিস’ স্থাপনসহ সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরকে পূর্ণকালীন লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে পদায়ন করেছে। আইনগত সহায়তার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ স্বঃপ্রণোদিত, দ্রুত ও কার্যকর আইনিসেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারীত্ব স্থাপন বৃদ্ধির বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশে জিআইজেড প্রকল্পের উপ জাতীয় প্রকল্প পরিচালক প্রমিতা সেনগুপ্ত বক্তৃতা করেন।
Share!