বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ রোহিঙ্গা জাতিসংঘের পরিচয়পত্র পেয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নে তাঁরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। ২০১৮ সালের জুনে রোহিঙ্গাদের এ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করে জাতিসংঘ।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আড়াই লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এ নিবন্ধনের ফলে তারা জাতিসংঘের শনাক্তকরণ কার্ড পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অধিকার হিসেবে তাদের একটি প্রমাণ।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা বলছে, রোহিঙ্গাদের এ নিবন্ধন মানবপাচারের বিরুদ্ধে সাহায্য করতে আইন প্রয়োগকারীর জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র আন্দ্রেজ মাহেসিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আড়াই লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী যৌথভাবে নিবন্ধিত হয়েছে এবং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ও ইউএনএইচসিআর তাদেরকে পরিচয়পত্র সরবরাহ করেছে।
২০১৭ সালের আগস্টে সেনাবাহিনীর নিপীড়নে মিয়ানমার থেকে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এর আগে থেকেই তিন লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক মুসলিম সংখ্যালঘুর কারণে নির্যাতিত হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রিত ছিলেন। ফলে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।