গতকাল সোমবার রাজধানীর গুলিস্তানে যে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনাটি নিয়ে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দায় স্বীকারের বিষয়টিও পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্য কেউ আইএসের নাম দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে কি-না, তা-ও দেখা হচ্ছে। আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এন্টি টেরোরিজম বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তারা পরীক্ষা করে দেখছেন। বিস্ফোরণ হওয়া ককটেলটি সাধারণ ককটেল থেকে ভিন্ন ছিল। কাউন্টার টেরোরিজম বিস্ফোরণের ধরন, আহতদের ধরনসহ প্রয়োজনীয় এভিডেন্স সংগ্রহ করছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান ডিএমপি কমিশনার। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে ককটেলটি গতকাল বিস্ফোরিত হয়েছে, তা সাধারণ কোনো ককটেল নয়, অনেক শক্তিশালী ছিল। এ ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক না কেনো, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ছাড়াও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বৈশ্বিক যে উগ্রবাদের প্রভাব আছে সারাবিশ্বে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তবে সংঘবদ্ধ বা বড় ধরনের নাশকতা করার ক্ষমতা তাদের নেই। ২০১৬ সালে হলি আর্টিজান হামলার পর তাদের বিধ্বস্ত করা হয়েছে। কখনও কখনও তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর অপচেষ্টা করেন, সেগুলো আমরা নজরদারিতে রাখছি। জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য, দেশের মানুষ রক্ষার জন্য যেকোনো নৈরাজ্য উগ্রবাদ রুখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ঘটনাটিতে আদৌ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা কি-না, না-কি সাধারণ অপরাধীরা এটি করেছে, না-কি তৃতীয় কোনো মহল এটি করতে পারে, বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এছাড়া এ ঘটনার পর ট্রাফিক পুলিশদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কাজ চলছে।