তারা হলেন- ব্যাকটির দুই উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহান ও মোহাম্মদ সেলিম এবং উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সিপার আহমেদ।
আদালত বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে গুলশান ও মতিঝিল থানার দুই মামলায় তিন দিন করে ছয়দিন রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
অপর আসামি ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) শিপার আহমেদকে গুলশান থানার মামলায় তিনদিন ও মতিঝিল থানার মামলায় উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. সেলিমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তাদের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম তসরুজ্জামানের আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
অপরদিকে আসামিদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার ফজলুস সোবহান ও শিপারকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করে গুলশান থানার দায়ের করা দুদকের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক শাহ।
অপরদিকে মতিঝিল থানায় দুদকের দায়ের করা মামলায় ফজলুস সোবহান ও সেলিমকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
ওইদিন আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন। ওইদিনই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ঋণ জালিয়াতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে ওই কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছে।
দুদকের দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে ৪৩ নম্বর মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
প্রায় দুই হাজার ২’শ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযাগে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মোট ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৫৬টি মামলা করে কমিশন। মামলাগুলোর এজাহারে ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় গ্রেফতার ওই ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রধান ভূমিকা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।