দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য প্রসারে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন কাতারের শুরা কাউন্সিলের আহমেদ বিন আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল মাহমুদ। ইন্টার-পার্লামেন্ট ইউনিয়ন (আইপিইউ) সম্মেলন চলাকালে শুক্রবার রাতে কাতারের দোহায় শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় তাঁরা সংসদীয় গণতন্ত্র, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে কাতারের স্পিকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনে কাতারের আগ্রহের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের সাথে কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংসদ সদস্যদের মধ্য পারস্পরিক সফর ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন-বিস্ময়। একসময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে খাদ্য রপ্তানির দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছে। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে কাতার সরকারের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। সারা দেশে সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে। তিনি একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ ওষুধ ও আইসিটি খাতে বিনিয়োগের জন্য কাতার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে স্পিকার কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ১৪০তম অ্যাসেম্বলি এবং ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সফলতা কামনা করেন। তিনি শুরা কাউন্সিলের স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান ও কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।