ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে অনেকদিন ধরেই নানামুখী উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে খেলাটির বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসিকে। যুগ বদলাচ্ছে, তাই ক্রিকেটও নিজেদের বদলে ফেলার চেষ্টা করছে। নিয়মকানুনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। সামনে আরও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। তবে আজ এপ্রিলের প্রথম দিনটিতে একসঙ্গে অনেক রকমের নতুন আইন হুট করে প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। আইসিসির একের পর এক টুইট দেখে বেশ ধন্দে পড়ে গেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ব্যাপারটা কী? একসঙ্গে এত পরিবর্তন কেন?
আইসিসির টুইটে বলা হয়েছে, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করলেই টেস্ট খেলোয়াড়রা ফুটবলারদের মতো শর্টস পরার সুযোগ পাবে! আবার বলা হচ্ছে, যেহেতু টস করার জন্য কয়েন ছুড়ে মারা অনেক পুরোনো হয়ে গেছে, ব্যাট ছুড়ে টসের সিদ্ধান্তও খুব একটা জনপ্রিয় হচ্ছে না; তাই টসে পরিবর্তন আনছে আইসিসি। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে টসের বদলে টুইটারে ভোট নেওয়া হবে। ভক্ত-সমর্থকেরা ঘরে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন, কারা ব্যাট করবে আর কারা করবে ফিল্ডিং!
আরও মজার সব আইন আছে আইসিসির টুইটে। যেমন: টেস্টেও খেলোয়াড়ের জার্সিতে সংখ্যা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে সঙ্গে নামের জায়গায় খেলোয়াড়ের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ঠিকানাও থাকবে! ক্যাচ নেওয়ার পর ফিল্ডিং দলকে ডাবল উইকেট প্লে করার সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান ক্রিজের বাইরে থাকলে তাঁকে রান আউট করা যাবে। ক্রিকেটে দুটি নতুন নাম যোগ হবে। নো বলকে এখন টেনিসের ভাষায় বলা হবে ‘ফল্টস’। আর ডট বলকেও টেনিসের মতো করে ডাকা হবে ‘এইস’।
এখানেই কিন্তু শেষ নয়; দিবারাত্রির টেস্টে ইভিনিং সেশন বা শেষ সেশনে যে রান হবে, সেগুলো দ্বিগুণ হিসাব হবে। অর্থাৎ চার মারলে ৮ রান আর ছক্কা মারলে ১২। তাছাড়া এখন থেকে নাকি সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান চাইলে স্লিপের পেছনে ধারাভাষ্যকার রাখতে পারবে! সর্বশেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হলো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যদি দলগুলোর মধ্যে টাই হয়; তবে ফুটবলের অ্যাওয়ে নিয়ম কার্যকর হবে। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের মাঠে যারা বেশি রান তুলবে, তারাই জয়ী হবে।
যারা এখনও বুঝতে পারেননি যে, আইসিসি সবাইকে ‘এপ্রিল ফুল’ বানাচ্ছে; তারা এই লাইনটা পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারলেন…।