ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি সন্ত্রাস নিয়ে রাজনীতি করছেন? পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতের বিমান হানার তথ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে এই প্রশ্নেই সরব হলেন দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল।
জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মোহাম্মদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাতে ২০০-৩০০ সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করলেও, আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তার উল্লেখ নেই। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখ খোলা উচিত বলে তোপ দাগেন তিনি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নাম তুলে ধরে কপিলের প্রশ্ন, ওই সংবাদপত্রগুলো কি সব পাকিস্তানের পক্ষে? তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘যখন আন্তর্জাতিক মিডিয়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লিখেছে, তখন আপনি গর্ববোধ করেছেন। আর যখন তারা ভারতের দাবি নিয়ে প্রশ্ন করছে, তখন কি তারা পাকিস্তানের পক্ষে হয়ে যাচ্ছে?’
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের মন্ত্রী নভজ্যোত সিং সিধুও বালাকোটের বিমান হানা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একে নির্বাচনী গিমিক বলে অভিযোগ করেছেন।
এর আগে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে বালাকোট বিমান হানার প্রমাণ পেশ করার কথা বলেছেন কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন, বালাকোটে বিমান হানার পর ঠিক কী হয়েছে, তা জানার অধিকার রয়েছে ভারতবাসীর।
এদিকে, রবিবারও একটি সভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেন, বালাকোটে ২৫০ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে।