পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস ভারতের না দেখানোই উচিত। এই ঘটনার জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের আছে। পাকিস্তান জবাব দেবে।’
মঙ্গলবার ভোর রাতে পাকিস্তানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণের পর সাংবাদিকদের এ কথা বললেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।
সাংবাদিকদের সামনে আসার আগে এ দিন ইসলামাবাদে তাঁর দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন কুরেশি। বৈঠকে পাকিস্তানের সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূতরা অংশ নেন।
সেই বৈঠকে কী কী আলোচনা হল, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সেই সব জানাবেন তিনি। পাকিস্তানের এখন কী করণীয়, ভারতকে কীভাবে জবাব দেওয়া হবে তা ইমরানের খানের সঙ্গে ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে।
কুরেশি বলেন, ‘ভারত যা করেছে, তা আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখার লঙ্ঘন। এতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিপদাপন্ন। আত্মরক্ষার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। এই ঘটনার জবাব দেওয়ার সব রকমের অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের। পাকিস্তান সেই জবাব দেবে।’
ওদিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকস্মিক হামলার পরপরই জরুরি বৈঠক তলব করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলায় অন্তত ২০০-৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডে।
দেশটির বিমানবাহিনীর একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া ট্যুডে বলছে, সীমান্ত রেখার কাছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও লঞ্চ প্যাডে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্র বলছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৩টার দিকে ভারতীয় বিমান বাহিনীর চালানো হামলায় অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। যুদ্ধবিমান মিরাজ-২০০০ সহ অন্যান্য জঙ্গিবিমান থেকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অন্তত এক হাজার কেজি ওজনের বোমা ফেলা হয়েছে।
কাশ্মীরে ভারতের এই হামলা প্রায় ২১ মিনিট ধরে চলমান ছিল। এতে সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। মুজাফফরাবাদ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের তালেবান অধ্যুষিত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোট সেক্টরেও হামলা হয়েছে।