সামনে এসেছে সালমান মুক্তাদিরের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। যা তাকে প্রতিনিয়ত আলোচনার শীর্ষে নিয়ে আসছে সম্প্রতি মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম ও সালমান মুক্তাদিরের সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটেছে। কয়েক দিন আগে গভীর রাতে সালমানের বাসার গেটে ধাক্কাধাক্কি এবং ইট নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটিয়েছে জেসিয়া। তুলেছেন প্রতারণার অভিযোগ। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় জেসিয়ার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয় সালমান নিজেই।
সেই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের রেশ যেতে না যেতেই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ‘অভদ্র প্রেম’ টাইটেলে একটি ভিডিও টিজার প্রকাশ করে সালমান। এরপর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। এই সমালোচনায় বাড়তি মাত্রা যোগ করেন বাংলাদেশের আরেক ইউটিউবার তাহসিন এন রাকিব (তাহসিনেশন)।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাহসিনেশন তার ফেসবুক পাতায় এটি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। জানান, ৫ লক্ষ মন্তব্য হলে এটি নিয়ে রোস্টিং ভিডিও করার কথা বলেন। কিন্তু মাত্র ৮ ঘণ্টায় ৫ লক্ষের বেশি মন্তব্য পড়ে তার পোস্টে। তাই শুক্রবার রাতে তাহসিনেশন ইউটিউব চ্যানেলে একটি রোস্টিং ভিডিও আপলোড করা হয়।
ইন্টারনেটে অশ্লীল ও অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্ট আপলোড আর না করার জন্য সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরকে। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় মিন্টো রোডে সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়
রোস্টিং ভিডিওতে তাহসিন এন রাকিব ভিউয়ারদেরকে ‘সালমান দ্যা ব্রাউনফিস চ্যানেলে আনসাবস্ক্রাইব করার কথা বলেন। এমন ভিডিও পোষ্ট করার পর থেকেই সালমান মুক্তাদিরের চ্যানেলে আনসাবক্রাইব করার ধুম পড়ে যায়। জানা যায়, ঐ ভিডিও আপলোড করার পর রাতেই সালমান মুক্তাদিরের চ্যানেলকে ৪৭ হাজার ১২ জন আনসাবক্রাইব করেছেন।
এখন পর্যন্ত চ্যানেলটিতে আনসাবক্রাইব করার ঝড় চলে। অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে চলছে ব্যাপক শোরগোল। অনেকে সালমানের চ্যানেলে আনসাবক্রাইব করে তাকে বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন।
গানটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটে চলছে তীব্র সমালোচনা। গানটির চিত্রায়নকে ‘অশ্লীল’ আখ্যা দিয়ে তর্ক-বিতর্কও চলছে মিডিয়াজুড়ে। রিয়া আক্তার লাবনী নামের একজন মন্তব্যে লিখেছেন, ‘বাঙালি হয়ে তুমি এইটা কি বানালে। ডিসলাইক। আনসাবস্ক্রাইব দুটোই করে দিলাম। বেয়াদব।’ ওয়াক্কাস আহমেদ লিখেছেন, ‘আমার মতো কে কে ডিসলাইক করতে এসেছেন?’
সালমানের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন কেউ কেউ। রিগ্যান খান নামের একজন লিখেছেন, ‘এই চ্যানেলে অশিক্ষিত মূর্খদের ঠাঁই নেই। যারা অশিক্ষিত মূর্খ আছেন তারা আনসাবস্ক্রাইব করে তাড়াতাড়ি বের হয়ে যান।’
মূলত সালমান মুক্তাদিরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা অল্প সময় ধরে নয়। ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্ক নিয়ে সালমানকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা লেগেই থাকে। জেসিয়া ইসলামকে নিয়ে একাধিক ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে চূড়ান্ত সমালোচনার শিকার হন এই তরুণ।
সালমানকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সালমান মুক্তাদির ভিডিও সরিয়ে ফেলবে বলে কথা দিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে কাউন্সিলিং ও নিরাপদ ইন্টারনেট সংক্রান্তে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর তার কন্টেন্টগুলো মনিটর করা হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী না চললে পরবর্তীতে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’