সায়েশা সেইগাল। বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী বলা হচ্ছে তাকে। তার সঙ্গে বলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।
একটি গয়না বিপণীর বিজ্ঞাপনের কারণে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ তিনি। বলিউডে আবারও নতুন ছবিতে তাকে দেখা যেতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। অজয় দেবগনের ‘শিবায়ে’ ছবিতে অভিনয় করেছেন সায়েশা। মুম্বাইয়ের ইকোলে মণ্ডলে স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
কোনো দিন ৯০ শতাংশের কম নম্বর পাননি সায়েশা। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সায়েশার প্রথম ছবি তামিল। ছবির নাম ছিল অখিল। সেটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে সায়েশার সঙ্গে বলিউডের নিবিড় যোগ রয়েছে। সায়েশার মা শাহিন বানুও ছিলেন একজন অভিনেত্রী। শাহিন বানু অভিনেত্রী শায়রা বানুর ভাই সুলতান আহমেদের মেয়ে, অর্থাৎ শায়রা ও দিলীপ কুমারের নাতনি শায়েষা।
অন্যদিকে সায়েশার বাবা সুমিত সেইগালও একজন বলিউড অভিনেতা। তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর সুমিত বিয়ে করেন অভিনেত্রী ফারাহ নাজকে। সেদিক থেকে ফারাহ নাজ হলেন সায়েশার সৎমা।
তবে সায়েশার সঙ্গে সালমান খানেরও এক অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। সেটা তার মায়ের দিক থেকে। সালমান খানের কলেজ জীবনের প্রথম প্রেমিকা ছিলেন শাহিন। শায়রা ও দিলীপ কুমারের সঙ্গে সালমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতা ছিল সেই সময়। সেই শাহিনেরই মেয়ে সায়েশা। সালমান তাই এই অভিনেত্রীকে নাকি বলিউডে অভিষেক ঘটাতে চেয়েছিলেন।
১৯ বছর বয়সেই শাহিনের সঙ্গে সালমানের পরে ব্রেক আপ হয়ে যায়। তার পর শাহিন বিয়ে করেন সুমিতকে। সেই সুমিত আর শাহিনেরই মেয়ে সায়েশা। সালমান অত্যন্ত খেয়াল রাখেন সায়েশার। এক পার্টিতে দেখাও গেছে তাদের।
সালমান নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে এও বলেছেন, সায়েশাকে দেখলেই অল্প বয়সের শাহিনের কথাই তার মনে পড়ে যায়।