মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকী এখনো এক বছর। তবে হোয়াইট হাউজে যাওয়ার প্রতিযোগিতা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আর তাতে শামিল হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট সিনেটর কমলা হ্যারিস।
ট্রাম্প প্রকাশনের বিরুদ্ধে সোজাসাপ্টা প্রশ্ন করে সাহসী নারী হিসেবে আলোচিত হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এবিসি নিউজজের ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ নামের এক অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগ্রহ দেখান কমলা।
ভারতে জন্ম নেয়া এই নারী ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দুই বছর আগে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে মার্কিন সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগে তিনি ছিলেন এ রাজ্যের অ্যাটর্নী জেনারেল।
৫৪ বছর বয়সী সাবেক এ আইনজীবীর মা ভারতীয় এবং বাবা জ্যামাইকান। সে হিসেবে তিনি একই সঙ্গে আফ্রিকান-আমেরিকান এবং এশিয়ান-আমেরিকানও বটে। তিনি নির্বাচনের মাঠে ট্রাম্পের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মনোনয়ন নিতে আগ্রহী।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, কমলা হ্যারিস মার্কিন জনপ্রিয় গণমাধ্যম এবিসি’তে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে ‘গুড মর্নিং অ্যামেরিকা’ বলে মার্কিন নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেন।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আপনাদের (মার্কিন জনগণ) উপর নির্ভর করে এবং আমেরিকানদের মূল্যবোধের লড়াইয়ের জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই কারণেই আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে মাঠে নামছি’।
তবে উদারপন্থী দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও আমেরিকানরা এখনো কোনো নারী প্রেসিডেন্টের জন্য প্রস্তুত কি না- এমন প্রশ্ন দেখা দেয় গত নির্বাচনে। দেশটির ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে জায়গা পান নি। ক্যালিফর্নিয়ার ওকাল্যান্ড থেকে আগামী রবিবার কমলা হ্যারিস তার প্রার্থীতা নিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করবেন।
যদি নির্বাচনে তিনি বাজিমাত করেই ফেলেন, তাহলে আমেরিকার ইতিহাসে আফ্রিকান-আমেরিকান হিসেবে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হবেন। একই সঙ্গে প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবেও নাম লেখাবেন মার্কিন ইতিহাসের পাতায়।
কমলা হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজ অব ল-তে পড়েছেন। পরে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
কমলা হ্যারিসের পাশাপাশি এলিজাবেথ ওয়ারেন, অপরাহ উইনফ্রে, মিশেল ওবামা ও তুলসি গ্যাবার্ড এবং হিলারি ক্লিনটন ফের প্রার্থী হবেন বলেও শোনা যাচ্ছে।