আজ ২১ জানুয়ারী, সোমবার পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে। একে ‘সুপার ব্লাড মুন’ বা ‘সুপার ব্লাড উলফ মুন’ (নেকড়ে চাঁদ) বলেও অভিহিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৩৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে পূর্ণগ্রাসে দৃশ্যমান হয়েছে চাঁদ। তবে বাংলাদেশ বা এশিয়ার কোনো দেশ থেকে এ দৃশ্য দেখা যায়নি।
জানা গেছে, চন্দ্রগ্রহণটি শেষ হয়েছে দুপুর ১টা ৪৮ মিনিটে। আর পুরোপুরিভাবে চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে ১১টা ১২ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় পুরোপুরিভাবে এবং পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার কিছু স্থানে আংশিকভাবে দেখা গেছে চন্দ্রগ্রহণটি।
চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী এক সরলরেখায় থাকলে এবং চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়লে চন্দ্রগ্রহণ হয়। এ সময় সূর্যরশ্মি ছড়িয়ে পড়ে এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর গিয়ে পড়ে বলে চাঁদকে রক্তিম লাগে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার তথ্যমতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন সুপারমুন দেখা দেয়। এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের কাছে বছরের প্রথম সুপারমুনটি ‘নেকড়ে চাঁদ’ নামে পরিচিত। তাদের বিশ্বাস, ওই পূর্ণিমায় পৃথিবী চাঁদের আলোয় এতটাই ভেসে যায় যে নেকড়েরা ডেরা থেকে বেরিয়ে ডাকতে শুরু করে।