প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৬২ ভূমিহীন পরিবার ১১৬ বিঘা খাস জমি সরকারের নিকট থেকে লিজ নিয়ে ৩৪ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছে। এই জমি নিয়ে গ্রামের একটি পক্ষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। ভূমিহীন পরিবারের নেতৃত্বে রয়েছেন হানেফ আলী ও শাহাবুল এবং গোলদার গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা ও দর্শনার আব্দুল হাই টুকু। ২০১২ সালে গোলদার গ্রুপ হামলা চালিয়ে ভূমিহীন ৬২টি পরিবারকে ভিটে ছাড়া করে। দীর্ঘ ৩ বছর হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নির্দেশে ৬২টি পরিবার গত বছরের জুলাই মাসে বাড়ি ফিরে যায়।
সোমবার রাতে ভূমিহীন পরিবারের ওপর গোলদার গ্রুপ হামলা চালায়। সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে সীমান্ত ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইসাবুল ইসলাম মিল্টন ও রেজাউল গোলদারের ছেলে বাদলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত বোমা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোহাম্মদ আলীর নাড়ি-ভুঁড়ি বেরিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। হামলাকারীরা এ সময় শাহাবুদ্দিনের ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
জীবননগর হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং যশোর হাসাপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে শাহাবুদ্দিন মারা যায়। আজ সকালে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী মালেকা বেগম মারা যান। এএসপি (সার্কেল) সুফি উল্লাহ, ইউএনও নুরুল হাফিজ ও ওসি হুমায়ুন করীরসহ র্যাব কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।