ক্রিকেটে আগ্রহ সেই ছোটবেলা থেকেই। খেলাটা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিখতে যখন কোচেদের কাছে গিয়েছিলেন, ছেলেটিকে বলা হয়েছিল পেসার হওয়ার স্বপ্নটা ভুলে যেতে। কারণ অত হালকা-পলকা শরীর ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয়। সেই ক্রিকেটারই সিডনিতে খেলতে নেমে দুর্দান্ত ফাস্ট বোলিং করে হারিয়ে দিলেন ভারতকে। ১০ ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। অস্ট্রেলিয়ার এই তরুণ পেসারের নাম জাই রিচার্ডসন।
ভারতের বিপক্ষে রবিবারের ম্যাচের পর রিচার্ডসনকে এখন থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে নেওয়ার দাবি উঠেছে। ডান হাতি এই পেসার নিয়মিত ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের ওপর গতিতে বল করতে পারেন। শেন ওয়ার্ন তো বলেই দিয়েছেন, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করার ক্ষমতা আছে এই তরুণের।
২২ বছরের রিচার্ডসনের চার শিকারের মধ্যে আছে স্বয়ং ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। যে উইকেট নিয়ে রিচার্ডসন বলছেন, ‘বলটা হাত থেকে বের হওয়া মাত্র আমি একটু হতাশ হয়েছিলাম। কারণ বলটা একটু বেশি সোজা ছিল। কিন্তু স্কয়ার লেগ একটু এগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তাই ক্যাচ সোজা ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। এই উইকেটটা আমি অনেক দিন ভুলব না।’
দ্রুত তিন উইকেট পড়ে গেলেও ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিল রোহিত শর্মা-মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের উইকেটটাও নিয়েছেন রিচার্ডসন। যদিও তা বিতর্কিত ছিল। ভারতের হাতে কোনো রিভিউ ছিল না। ম্যাচের সেরা রিচার্ডসনের মন্তব্য, ‘ওই সময় আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। ভারত জিতেও যেতে পারত। আমাদের ভাগ্য ভালো, ধোনির উইকেটটা ওই সময় পেয়ে যাই।’