বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের এক পুলিশ কর্মকর্তার গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়ায় দাবি করেছে মিয়ানমার। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ তদন্তকমিটি গঠন করেছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মিয়ানমার পুলিশের ওই কর্মকর্তা নিখোঁজ হয়েছিলেন। রয়টার্স ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি প্রকাশ করে।
মিয়ানমার থেকে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের সীমান্ত শহর মংডু তে টহল দেওয়ার সময় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কে বা কারা প্রাইভেট অং কিয়াও থেটের দল লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে জানায় মিয়ানমারের মিডিয়া। ওই হামলায় আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয় মিয়ানমারের খবরে।
তবে ঘটনার পর দূর থেকে মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারলেও ঘটনাস্থলে আসতে পারছিল না মিয়ানমারের সেনারা। এ কারণে মৃতদেহ উদ্ধার করতে বেশ সময় লেগে যায়। শুক্রবার মৃতদেহ উদ্ধারের পর মুখমণ্ডল, বাহু ও পায়ে গুলির চিহ্ন পাওয়া যায় বলেও জানায় মিয়ানমার।
মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল তিন হান লিন রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার মৃতদেহ উদ্ধারের কয়েকদিন আগেই তারা সেটির অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু সেটি উদ্ধারে মিয়ানমার-বাংলাদেশ যৌথ দল গঠন করতে সময় লেগে যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের মেজর মোহাম্মদ ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, ১৭ ডিসেম্বরের ঘটনায় তার দলের সদস্যরা জড়িত নন। তবে ওই দিন তারা সীমান্তে গোলাগুলির আওয়াজ পেয়েছিলেন। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ তদন্তকমিটি গঠন করা হয়েছে।