বাগেরহাটের রামপালে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
বাসটি মহাসড়কের ওপর উল্টে থাকায় ভোর সাড়ে ৩টা থেকে আহ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খুলনা-মোংলা মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
ফায়ার ব্রিগেড এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করার পর ওই মহাসড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আহতদেরকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ এবং ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে বাসচালকের সহকারী মোংলা উপজেলার সরোয়ার হোসেনের ছেলে কামরুল (২৫) এবং বাসযাত্রী জেলার রামপাল উপজেলার তেলিখালী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ফেরদেৌস (৪২) এর নাম জানা গেছে।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দ্বায়িত্বে থাকা মলয় রায় জানান, আরাফাত নামে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে মোংলায় আসছিল। পথিমধ্যে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসটি সোনাতুনিয়া এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশে গাছের সঙে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে দুজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজন মারা গেছে।
তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এবং ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার জানান, খবর পেয়ে বাগেরহাট, খুলনা এবং মোংলার ফায়ার ব্রিগেডের ছয়টি ইউনিট এবং থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিকে সড়কের ওপর থেকে সরিয়ে নেয়। দুর্ঘটনার পর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। রেকার দিয়ে বাসটিকে সড়কের ওপর দিয়ে সরিয়ে নেওয়ার পর ওই সড়কে পুনরায় বাস চলাচল শুরু হয়।