ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশকে। দুর্দান্ত জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ক্যারিবীয়রা। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে দুই বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচ জিততেই হবে টাইগাদের। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জয় দিয়ে শুরু করতে পারলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের যাত্রাটা ব্যর্থতা দিয়েই হয় বাংলাদেশের। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদেশ দলকে। সিলেটের ম্যাচটিতে টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল-লিটন দাস ও সৌম্য সরকার প্রথম ম্যাচে নিজেদের ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছেন। তিনজনই একই ভঙ্গিমায় আউট হয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই পেসার শেলডন কট্রেল ও ওশানে টমাসের বাউন্সার সামলাতে হিমশিম খেয়েছেন তারা।
শুধুমাত্র টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানরাই ব্যর্থ হননি, নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি বাংলাদেশের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও। তবে এক্ষেত্রে একেবারেই ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন তিনি। তবে অন্যদের ব্যর্থতা দলকে লড়াই করার পুঁজিও এনে দিতে পারেনি। ১৯ ওভারেই ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই অল্প টার্গেট টপকে যেতে উইন্ডিজের লাগে মাত্র ৬৫ বল। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। তাই সিরিজ হারের মুখে টাইগাররা। সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জ্বলে উঠতে হবে তামিম-লিটন-মুশফিক-সৌম্যদের। পাশাপাশি বোলারদের কাছ থেকেও দল চাইবে ম্যাচ জয়ী পারফরমেন্স। তবে কাজটি মোটেও সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। কারণ টি-টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী এক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার হিটিংয়ের সবকিছুই সিলেটে দেখিয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচেও নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সিরিজ জিতে টেস্ট ও ওয়ানডে হারের দুঃসহ স্মৃতি মুছে ফেলতে চায় তারা।