মাশরাফি বিন মুর্তজা মাঠে থাকবেন আর গ্যালারিতে দর্শকরা চিৎকার করবেন না এটা হতেই পারে না। দেশের জনপ্রিয় এই অধিনায়কের ছোঁয়া পেতে মাঠে পর্যন্ত দর্শক ঢুকে যায়। এতিদন গ্যালারিতে ‘ম্যাশ’ কিংবা ‘মাশরাফি’ তালে তালে ধ্বনিত হতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে মাশরাফিকে নিয়ে স্লোগান। বল হাতে মাশরাফিকে দেখলেই শের-ই-বাংলায় স্লোগান উঠল ‘নৌকা’ ‘নৌকা’….। যদিও এই স্লোগান নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি ক্রিকেটে মজে থাকা অধিনায়ক।
মাশরাফি এখন শুধু জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কই নন; তিনি জাতীয় রাজনীতির হবু নেতাও বটে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়বেন নিজ এলাকা নড়াইল-২ আসনে। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে দেখলে ‘নৌকা-নৌকা’ স্লোগান হওয়াটা অস্বাভাবিকও নয়। তবে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের জন্য অবশ্য এই অভিজ্ঞতা একেবারেই নতুন। রাজনীতিতেও তো মাশরাফি একেবারে নতুন। সিরিজ শেষে শুরু করবেন নির্বাচনী প্রচার।
তিনি যখন বোলিং করতে এসেছেন; তখনই গ্যালারি থেকে ভেসে আসছিল ‘নৌকা’ স্লোগান। যা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক। রাজনীতিতে নেমে খেলায় ফোকাস রাখতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্ন যখন সবখানে উঠছিল; তখনই রবিবার বল হাতে বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন ম্যাশ। ১০ ওভারে ৩১ রান, এবং ৪১ ডট দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, ক্রিকেটটাই তার কাছে আগে। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে ফিরছেন ড্রেসিংরুমের দিকে, অমনি গ্যালারিতে শুরু হয়ে গেলে ‘নৌকা’ ‘নৌকা’।
এই তো কয়দিন আগেও দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে ভালোবাসত। রাজনীতিতে নাম লেখানোর পর থেকেই এ দৃশ্য বদলে গেছে। তবু এমন পারফর্মেন্স করে ম্যাশ বলছেন, কাউকে জবাব দেওয়ার কিছু নেই তার, ‘না, জবাবের কী আছে? জবাব দেওয়ার কিছু নেই। খারাপ হলেই কথা বলত। ১৮ বছর ধরে খেলছি। এত সহজে মনোযোগ সরার কথা না। আমি আমার নিজেকে তো চিনি। গত কিছুদিন চেষ্টা করেছি বলটা যেখানে ফেলতে চাই সেখানে পড়ছে কিনা। এটাতে মনোযোগ দিয়ে যাচ্ছি। জবাব দেওয়ার কিছু নেই।’