মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গের কারণে পাবনার ভাঙ্গুড়ার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চিঠি দেওয়ার দীর্ঘ ৪৫ বছর পার হলেও আজও স্বীকৃতি মেলেনি তাঁর। এদিকে স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও ছেলে সৈয়দ আলী এক যুগ ধরে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কলকতি গ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমজাদ হোসেন পাকিস্তান সরকারের চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল আমজাদ হোসেন সঙ্গীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে অধিক প্রশিক্ষণ নেওয়ার উদ্দেশ্যে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ সীমান্ত হয়ে ভারত যাওয়ার জন্য একটি ট্রেনে উঠে বসেন। ওই সময় একজন বিহারি বিষয়টি জানতে পেরে প্ল্যাটফর্মে তল্লাশিরত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যদের বলে দেয়। তখন হানাদার বাহিনী আমজাদ হোসেন ও তাঁর সঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সবাইকে ধরে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ওই মুক্তিযোদ্ধাদের লাশের সন্ধান আজও পাওয়া যায়নি। যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্যাডে আমজাদ হোসেনকে স্বাধীনতাসংগ্রামে শহীদ ঘোষণা করে তাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগমের কাছে চিঠি পাঠান। একই সঙ্গে ওই চিঠির সঙ্গে আমজাদ হোসেনের স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে দুই হাজার টাকার চেক দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’