সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে স্বাগত জানাবে না তিউনিশিয়া। সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করায় যুবরাজের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে আফ্রিকার এই দেশটি। অধিকারকর্মীরা বলছেন, ‘যুবরাজের হাতে এখনও খাসোগি হত্যার রক্তের দাগ লেগে রয়েছে।’
সফরের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে দেশটির রাজনীতিক, সচেতন সমাজ, সাংবাদিক-ব্লগার ও মতানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। প্রতিবাদ শুধু বিক্ষোভেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। যুবরাজের পরিকল্পিত সফর ঠেকাতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। সফরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকে দিতে ইতিমধ্যে ৫০ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে।
তিউনিশিয়ার খ্যাতনামা আইনজীবী ও সাংবাদিক সিন্ডিকেটের প্রধান নিজার বজলুল শনিবার আলজাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। ২ অক্টোবর খাসোগি হত্যার পর প্রথমবারের জন্য বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আগে দশটি দেশ সফর করবেন তিনি।
এরই অংশ হিসেবে আগামী ২৭ নভেম্বর তিউনিশিয়া সফর করবেন। তিউনিশিয়া সরকার যুবরাজের তথ্য নিশ্চিত করে শুক্রবার বলেছে, যুবরাজকে সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে খাসোগি হত্যার নিন্দার পাশাপাশি হত্যার ‘পেছনের সত্য’ প্রকাশে সৌদির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সফরের শুরুতে সৌদি জোটের অন্যতম সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছান তিনি।
যুবরাজের সফরের আগেই আদালতে মামলা রুজু করবে আইনজীবীদের ওই দল। তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইসেবসিকে লেখা এক চিঠিতে এর নিন্দা জানিয়ে তিউনিশিয়ান প্রেস সিন্ডিকেট বলেছে, সফরের মাধ্যমে যুবরাজ আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা এড়াতে এবং বিশ্বের মানুষের চোখে ধুলো দিতে চাচ্ছেন।
নাজির বজলুল যুবরাজের সফরের সমালোচনা করে তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, খাসোগির রক্ত এখনও উষ্ণ আর খুনি মোহাম্মদ বিন সালমানকে আমাদের দেশে সফর আসছেন। তাকে স্বাগত জানানো হবে না।’ খাসোগি হত্যার বিতর্কের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করেছে সৌদি আরব।
এ মর্মে শনিবার নতুন নির্দেশনা জারি করেছেন সৌদি তথ্যমন্ত্রী আওয়াদ বিন সালেহ আল আওয়াদ। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘সহিংসতার মাধ্যমে সরকার উৎখাত বা পরিবর্তনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল।