তিনজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে চাকরি দিলেন চিত্রনায়ক ও এজেআই গ্রুপের চেয়ারম্যান অনন্ত জলিল।
আজ শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের চাকরি প্রদান অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমপর্যায়ে তিনজনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি।
প্রতিবন্ধীরা কোনো অনুগ্রহ নয়, কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। সমাজে এমন বক্তব্য প্রতিষ্ঠা করতেই এ মহৎ কাজটি করলেন এই চিত্রনায়ক।
চাকরি পাওয়া তিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিতার্কিক হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের রিপা তাবাসসুম ও পারভীন আক্তার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পারুল বেগম।
তারা তিনজনই ইডেন কলেজ থেকে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেছেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিপুল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন চিত্রনায়িকা বর্ষা, শিল্প উদ্যোক্তা সুমন ফারুক, অধ্যাপক আবু রইস, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জুলফিকার আলী মজুমদার।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে ‘যুক্তির আলোয় দেখি’ শিরোনামে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে পাঁচ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের লক্ষে চাকরি প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন অনন্ত জলিল।
আজ সে ঘোষণার বাস্তবায়ন করা হলো।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ও বিশিষ্ট উদ্যোক্তা অনন্ত জলিল বলেন, আমরা প্রথমপর্যায়ে এই তিনজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর হাতে চাকরির সনদপত্র তুলে দিতে পেরে আনন্দিত।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য আমাদের এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে খুব দ্রুত আরো কয়েকজনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ঘোষণার বাস্তবায়ন হতে কয়েকটি মাস লেগে যাওয়ার কারণ হিসাবে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজের ক্ষেত্র তৈরিতে সময় লেগেছে বলে জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে অনন্ত জলিল বলেন,‘ওই সময় আমি কথা দিয়েছিলাম পাঁচজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেব। সেই লক্ষ্যে আমি তাদের কাজের জন্য কিছু ক্ষেত্র তৈরি করেছি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা সব যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কর্মে প্রবেশে তাদের নানা বৈষম্যের শিকার হতে হয়। আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তিনজনের চাকরি হয়েছে। আমরা আশা রাখি এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।