ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) ও বাংলাদেশ ন্যাপ ২০ দলীয় জোট ছাড়ার যে ঘোষণা দিয়েছে তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, ‘কোনো কোনো নেতা লাভবান হতে বেঈমানি করছেন। এতে ২০ দলীয় জোটে কোনো প্রভাব পড়বে না।’ আজ বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না করেই সরকারের হুকুমে আরেকটি ফরমায়েশি রায়ের দিন ধার্য করেছেন নিম্ন আদালত। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নিম্ন আদালতে সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘অসুস্থ ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য চলার বিধান পৃথিবীর কোথাও নেই। বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার বেআইনি নজির সৃষ্টিকারী সরকার। তারা নতুন নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, এটিও তার একটি। যেমন বন্দুকের জোরে দেশের প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছাড়তে ও পদত্যাগ করতে বাধ্য করা এবং বিচারক মোতাহার হোসেনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার নজিরও সারা দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তেমনি অসুস্থতাজনিত কারণে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে রায় দেয়া হলে তাও হবে পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিতে এবং মানুষকে বোবা বানিয়ে দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাশের পর এবার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার নামে আরেকটি ভয়ঙ্কর আইন করতে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রিসভায় যে খসড়া নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র প্রধানের ব্যাপারে বিভ্রান্ত্রিমূলক তথ্য প্রকাশ করলে তিন বছরের জেল ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা। টকশো’তে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রচার করলেও একই সাজা। নীতিমালায় আরও বলা আছে, কমিশন গঠন করে রেডিও টেলিভিশন অনলাইনসহ সব মিডিয়ার লাইসেন্স দেওয়া হবে এবং যেকোনো কারণে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের ভয়, আওয়ামী মাস্তানের ভয়, মৃত্যুভয় মুছে আজ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। বুকের পাটা শক্ত করে দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। শিগগিরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা তথা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।’