সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী নিজেকে একক ভাষ্যকারে পরিণত করে বক্তৃতায় অন্যকে খুনি, দুর্নীতিবাজ বলছেন, অথচ খুন, জখম যে আওয়ামী শাসনের ঐতিহ্য, তা কিন্তু মানুষ ভুলে যায়নি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নানা কালাকানুন করে গণতন্ত্রকেই লকআপ করেছে আওয়ামী লীগ। মানুষ এখন ডিজিটাল আতঙ্কে ভুগছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটপাট করে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতিতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হচ্ছে। জনগণের এই টাকা নয়-ছয় করেই ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও আত্মীয় স্বজনদের কেউ কেউ সিঙ্গাপুরে শ্রেষ্ঠ ধনী হচ্ছেন, মালয়েশিয়া ও কানাডায় সেকেন্ড হোম ও বেগম পল্লী গড়ে তুলছেন।
আইটি খাতের লাখ কোটি ডলারের দুর্নীতি মানুষের অজানা নয় মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে কারা জড়িত সেটিও মানুষ অবগত। একদিন হুড়মুড় করে সব বেরিয়ে পড়বে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়েও সেটি আটকানো যাবে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলেই সংখ্যালঘুদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন হয়।