খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চালানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদন উচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে গেছে। হাই কোর্টের আজকের আদেশের ফলে বিএনপি চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে এ মামলার বিচার শেষ করতে কোনো আইনি বাধা থাকল না বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আজ রবিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার খালেদার রিভিশন আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেয়। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান গত ২০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে বলেন, খালেদা জিয়া যেহেতু ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ আদালতে হাজির হচ্ছেন না, সেহেতু তার অনুপস্থিতিতেই এ মামলার বিচার কাজ চলবে। ওই আদেশের বিরুদ্ধেই হাই কোর্টে রিভিশন আবেদনটি করেছিলেন খালেদা জিয়া।
গত ১০ অক্টোবর আবেদনটির ওপর শুনানি হয়। আদালত আজ আদেশে আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন তার মানে হল, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে।
এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সেখানে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে হাজির হয়ে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া বিচারককে বলেছিলেন, তিনি বার বার আদালতে আসতে পারবেন না, বিচারক তাকে যতদিন খুশি সাজা দিতে পারেন।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত হাজিরা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য মওকুফ করে তার অনুপস্থিতিতে মামলার কার্যক্রম যথারীতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে বিচারক বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা চাইলে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারবেন।