গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, আইনটি কার্যকর হলে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিল হবে। এ ছাড়া পরোয়ানা ও কারো অনুমোদন ছাড়াই তল্লাশি ও গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ।
এই আইনে ঔপনিবেশিক আমলের সমালোচিত আইন ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ সংযোজন করা হয়েছে। তাছাড়া আইনের ১৪টি ধারার অপরাধ হবে অজামিনযোগ্য। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় বসে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক এই আইন লঙ্ঘন করলে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিচার করা যাবে।
এদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি পাস হওয়ার প্রতিবাদে সম্প্রতি মানববন্ধন করার ঘোষণা দেন সম্পাদকরা। এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকও করেন আইন, তথ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। বৈঠকে গণমাধ্যমের আপত্তিতে থাকা ধারাগুলো আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ৩ অক্টোবর গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধী মন না হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।