চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে, এই প্রবৃদ্ধির সুফল কারা পাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া, দেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটি বলছে, এ ঋণ পুনঃ তফসিলের কারণে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি বেড়ে যাবে। এতে চাপ বাড়বে বাজেটে। এজন্য আর্থিক খাতে সংস্কার আনতে হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিশ্বব্যাংক বলছে, খেলাপি ঋণের দিকে নজর দিতে হবে। এই মুহূর্তে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মোট ঋণের ৪৮ শতাংশই খেলাপি ঋণ। এছাড়া, ৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের বড় অংশই খেলাপি ঋণ।
বিশ্বব্যাংক বলছে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ খাতে জোর দিতে হবে। এক হিসেবে বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত ৪৭ শতাংশ মানুষ নতুন করে বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। এ সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে ৮০ শতাংশ। ২০৩০ সালের বিদ্যুতের চাহিদা মোকাবিলায় এখন থেকেই উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হবে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়ন করছে। উন্নয়ন ধরে রাখতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। রফতানি ও রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি যেন কমে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। বিশ্বের ১০টি উদীয়মান দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এজন্য শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর, ড. হোসাইন জিল্লুর।